জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার স্তর কয়টি?
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার স্তর কয়টি? ✅ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী…
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার স্তর কয়টি?
✅ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার স্তর কয়টি?
বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার স্তর মোট ৪টি, যা শিক্ষার্থীর বয়স, মানসিক বিকাশ ও জ্ঞানার্জনের ধাপ অনুসারে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি স্তরের নিজস্ব লক্ষ্য, পাঠ্যক্রম ও কাঠামো রয়েছে।
🎓 জাতীয় শিক্ষানীতির ৪টি শিক্ষার স্তর:
স্তরের নাম | শ্রেণি/পর্যায় | ব্যাখ্যা |
---|---|---|
1️⃣ প্রাথমিক শিক্ষা | ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত | শিশুদের মৌলিক শিক্ষা, সাক্ষরতা, নৈতিকতা ও সামাজিক দক্ষতা অর্জনের ভিত্তি গড়ে তোলে। |
2️⃣ নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা | ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত (নিম্ন মাধ্যমিক: ৬-৮, মাধ্যমিক: ৯-১০) | সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান, গণিত, ভাষা ও নৈতিক শিক্ষা শেখানো হয়। ১০ম শ্রেণিতে SSC পরীক্ষা হয়। |
3️⃣ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা | ১১ম ও ১২শ শ্রেণি | বিশেষায়িত শিক্ষা শুরু হয়: বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক শাখা ইত্যাদি। ১২শ শ্রেণিতে HSC পরীক্ষা। |
4️⃣ উচ্চ শিক্ষা | স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও গবেষণা পর্যায় | বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর জ্ঞান ও গবেষণা শিক্ষাদান হয়। |
✅ অতিরিক্ত স্তর (সহায়ক শ্রেণিবিভাগ):
- 🎒 প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা (Pre-Primary): প্রাথমিকের আগে ১ বছর, সাধারণত ৫+ বছর বয়সী শিশুদের জন্য।
- 🛠️ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পর পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য।
- 📚 মাদ্রাসা শিক্ষা: দ্বৈত ধারায় (আলিয়া ও কওমি) ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়।
- 🏫 বিশেষ শিক্ষা: প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা।
✅ উপসংহার:
জাতীয় শিক্ষানীতির এই স্তরভিত্তিক কাঠামো বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি সংগঠিত, স্তরক্রমিক ও লক্ষ্যভিত্তিক রূপ দেয়। প্রতিটি স্তর শিক্ষার্থীর মানসিক, শারীরিক ও জ্ঞানগত বিকাশের উপযোগী করে সাজানো হয়েছে, যাতে তারা ধাপে ধাপে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।