দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন, তবু এ আশার নেশা ছুটিল না, এ কী দায়! ব্যাখ্যা কর।
দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন, তবু এ আশার…
দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন, তবু এ আশার নেশা ছুটিল না, এ কী দায়! ব্যাখ্যা কর।
উদ্ধৃত অংশ:
“দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন,
তবু এ আশার নেশা ছুটিল না, এ কী দায়!”
— মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ব্যাখ্যা:
এই চরণদ্বয়ে কবি জীবনের ক্ষয়, দেহের দুর্বলতা ও সময়ের অস্থিরতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু তার মাঝেও মানুষের মনের গভীরে আশার যে এক অন্তর্নিহিত নেশা, তা কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। এখানে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে এক নিরাশাবাদী বাস্তবতা এবং তার বিপরীতে এক অদ্ভুত আশা-আকাঙ্ক্ষা।
বিশ্লেষণ পয়েন্ট আকারে:
🌿 ১. জীবনের ক্ষয় চিত্রিত:
“দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন” —
এখানে কবি বুঝিয়েছেন, সময় যতই যাচ্ছে,
- মানুষের আয়ু কমে আসছে,
- শারীরিক বল হ্রাস পাচ্ছে,
- জীবন দুর্বল ও সংকুচিত হচ্ছে।
🌿 ২. আশা তবুও মরে না:
“তবু এ আশার নেশা ছুটিল না” —
এই নেশা হলো জীবনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা,
যা দেহভাগ ক্ষীণ হলেও মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক অপার প্রত্যাশা।
🌿 ৩. বিরোধ ও দায়বদ্ধতা:
“এ কী দায়!” —
এই বাক্যটি এক ধরনের আত্মবিস্ময় এবং জীবনের প্রতি অকারণ টান বোঝাতে ব্যবহার হয়েছে।
কবি যেন বিস্মিত: এই দুর্বলতা, ভাঙাচোরা অবস্থাতেও কেন মন আশা ছাড়ে না?
এ যেন জীবনের প্রতি এক দায়বদ্ধ ভালবাসা।
✨ সারাংশ:
এই লাইনগুলোতে জীবনানন্দ দাশ জীবনের ক্ষয়, শারীরিক দুর্বলতা এবং মানুষের অদম্য আশা— এই তিনটি বিষয়ের এক জটিল কিন্তু গভীর দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছেন। মানুষ জেনে যায় তার দিন ফুরিয়ে আসছে, শরীর ভেঙে পড়ছে, তবুও সে আশা করে… এই আশাই মানুষের চিরন্তন প্রকৃতি — এক দুর্বোধ্য দায়!