রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা ও এর গুরুত্ব

রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিজ্ঞান যা রাষ্ট্র, সরকার, রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করে। এটি নাগরিকদের অধিকার, কর্তব্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থা কিভাবে পরিচালিত হয় তা বিশ্লেষণ করে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সঠিক সংজ্ঞা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সমাজের কাঠামো বোঝার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২য় পত্র এর উত্তর

Degree suggestion Facebook group

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা

অ্যারিস্টটল: রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে তিনি “রাজনীতির জনক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি এমন একটি বিজ্ঞান যা রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিগুলো বিশ্লেষণ ও অধ্যয়ন করে।

গার্নার: রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল “রাষ্ট্র এবং সরকারের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিশ্লেষণ, যা জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং আইন-প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে বোঝায়।”

ড. গুডনাউ: তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন— রাজনীতি ও প্রশাসন। রাজনীতি হলো নীতিনির্ধারণের অংশ, আর প্রশাসন হলো সেই নীতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব

১. সরকার পরিচালনার কাঠামো বোঝা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান আমাদের বিভিন্ন শাসন ব্যবস্থা যেমন গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, সাম্রাজ্যবাদ ইত্যাদি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়।
২. নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি: এটি নাগরিকদের তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলে, যা গণতন্ত্রের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য অপরিহার্য।
3. আইন ও নীতিনির্ধারণ: রাষ্ট্রবিজ্ঞান সরকারের আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি সম্পর্কেও গভীর বিশ্লেষণ প্রদান করে।
4. সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: এটি ন্যায়, সাম্য ও স্বাধীনতার মতো মৌলিক নীতিগুলো রক্ষা করতে সাহায্য করে।

উপসংহার

রাষ্ট্রবিজ্ঞান শুধুমাত্র রাষ্ট্রের কাঠামো বোঝার জন্য নয়, বরং একটি উন্নত সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য। এর মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন হয়।

Leave a Comment

error: Content is protected !!