জুম চাষ কী?

জুম চাষ হল পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত একটি প্রাচীন কৃষি পদ্ধতি যেখানে জমি পরিষ্কার করে, আগুন দিয়ে আগাছা দগ্ধ করে, এবং তারপর সেখানে ফসল চাষ করা হয়। এটি সাধারণত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত এবং বিশেষ করে চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকা, পার্বত্য ত্রিপুরা, এবং পার্বত্য মিজোরাম অঞ্চলে দেখা যায়।

জুম চাষের পদ্ধতি

জুম চাষ পদ্ধতি সাধারণত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়:

  1. জমি পরিষ্কার করা: গাছপালা ও আগাছা কেটে ফেলা হয়।
  2. আগুনে পোড়ানো: জমি উর্বর করার জন্য শুকনো গাছপালা পোড়ানো হয়।
  3. বীজ বপন: বৃষ্টি শুরু হলে বিভিন্ন ফসলের বীজ ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
  4. ফসল সংগ্রহ: নির্দিষ্ট সময় পর ফসল সংগ্রহ করা হয় এবং নতুন জমিতে চাষের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

  1. ডিগ্রি পরিক্ষার সকল বিষয়ের সাজেশন ও এর উত্তর
  2. Degree suggestion Facebook group

সুবিধা

  • পাহাড়ি অঞ্চলে সহজে কৃষিকাজ করা যায়।
  • মাটির উর্বরতা কিছু সময়ের জন্য বৃদ্ধি পায়।
  • বিভিন্ন ফসল একসঙ্গে চাষ করা সম্ভব।

সীমাবদ্ধতা

  • এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারণ এতে বনভূমি ধ্বংস হয়।
  • দীর্ঘমেয়াদে মাটির উর্বরতা কমে যেতে পারে।
  • জীববৈচিত্র্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

জুম চাষের টেকসই বিকল্প

এর পরিবেশগত প্রভাব কমানোর জন্য কিছু বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে:

  • সৃজনশীল কৃষি: নির্দিষ্ট সময় পর একই জমিতে পুনরায় চাষ না করে বিকল্প জমি ব্যবহার করা।
  • আধুনিক চাষাবাদ: সার ও জলসংরক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো।
  • বন সংরক্ষণ: এর পরিবর্তে বনভূমির স্থায়িত্ব বজায় রাখা।

উপসংহার

জুম চাষ পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জীবিকা নির্বাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলেও এটি পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই টেকসই কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমানো জরুরি।

Leave a Comment

error: Content is protected !!